কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা

আজকে আমরা আলোচনা করবো কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা – যা আমার কৈশোরের যত্ন এর অন্তর্ভুক্ত |

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা

 

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা

 

 

বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন :

বয়ঃসন্ধিকাল আমাদের শরীর ও মনের পরিবর্তনের একটি পর্যায়। এটি বিকাশের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রত্যেক মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল। মেয়েদের ৮ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন দেখা যায়। ছেলেদের ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এই পরিবর্তন দেখা দেয়। এ সময়ে শরীর ও মনে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে শুরু করে।

বয়ঃসন্ধিকালে আমাদের মধ্যে দুই ধরনের পরিবর্তন হয়। যেমন:

১. শারীরিক পরিবর্তন
২. মানসিক পরিবর্তন

শারীরিক পরিবর্তন:

বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের যে পরিবর্তন ঘটে, তাই শারীরিক পরিবর্তন। একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যেও এধরনের কিছু পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। তবে এই পরিবর্তনগুলো সবার জন্য একই সময়ে এক রকমভাবে আসে না। এ বিষয়গুলোকে আমরা সহজভাবে গ্রহণ করব। এই সময়ের প্রধান শারীরিক পরিবর্তনগুলো হলো :

 

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা

 

  • দ্রুত উচ্চতা বাড়তে থাকে।
  • ওজন বাড়ে।
  • শরীর দৃঢ় হয়।
  • শরীরের গঠন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হয় ।
  • শরীরের নানা জায়গায় লোম গজায়
  • ত্বক ও চুলে পরিবর্তন আসে।
  • মুখমণ্ডলে ব্রণ হতে পারে।
  • কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন হয়।

এ ছাড়া ছেলেদের ক্ষেত্রে আরও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন:

  • গলার স্বর ভারী হয়।
  • মুখে দাড়ি-গোঁফ গজাতে শুরু করে।
  • মাংসপেশি দৃঢ় হয়। বীর্যপাত হয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। সেগুলো হলো:

  • শরীর ভারী হয় ও বিভিন্ন অংশের আকৃতি পরিবর্তন হয়।
  • মাংসপেশি সুগঠিত হয়।
  • ঋতুস্রাব (মাসিক) শুরু হয়।

কৈশোর বা বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন বিষয়ে সহায়ক তথ্য ও ধারণা

 

মানসিক পরিবর্তন :

বয়ঃসন্ধিকালে মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন, দ্বিধা, কৌতূহল ও অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এতে মনের যে পরিবর্তন ঘটে তাই মানসিক পরিবর্তন।

  • নিকটজনের মনোযোগ, যত্ন, ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র হয়।
  • একজন আলাদা মানুষ হিসেবে নিজের ব্যক্তিপরিচয়ের ধারণা তৈরি হয় ।
  • আবেগপ্রবণতা বাড়ে।
  • কিশোর-কিশোরীদের পরস্পরের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
  • এ সময় মনের মধ্যে নানাধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও অস্থিরতা কাজ করতে পারে
  • সামাজিক কর্মকাণ্ডে আগ্রহ ও সহযোগিতামূলক মনোভাব বাড়ে।
  • এ সময়ে অনেকেই নিজের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকে। মনে তীব্র আবেগ অনুভব হয়। বারবার অনুভূতির পরিবর্তন যেমন কখনো হাসিখুশি পরক্ষণেই আবার মন খারাপ হতে পারে। হয়তো কোনো দিন মন খুব ভালো আবার পরের দিন মেজাজ খুব খারাপ হতে পারে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment