আজকে আমরা আলোচনা করবো নিজের পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশ করি – যা অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি এর অন্তর্ভুক্ত |
নিজের পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশ করি
স্থান: বাজারের একটি দোকান
চরিত্র: জিনিয়া, রেহানা খাতুন (জিনিয়ার মা), খায়রুল হাসান (জিনিয়ার বাবা,
জিনিয়া তার বাবা-মায়ের সাথে বাজারের একটি দোকানে ঈদের জামা কিনতে এসেছে
মা: আমাদের আজকে আরও অনেক কাজ আছে জিনিয়া। তাই জলদি কেনাকাটা সারতে হবে। জিনিয়া: আচ্ছা, মা।
বাবা: জিনিয়া তুমি দেখো কী ধরনের জামা তোমার ভালো লাগে, এই দোকানে অল্প দামে বেশ ভালো ভালো জামাকাপড় আছে।
মা: ও সহজে কিছু পছন্দ করতে পারে না, অনেক সময় নষ্ট করবে। আমি দেখে দিচ্ছি। (মায়ের এ কথা শুনে জিনিয়ার চেহারা মলিন হয়ে যায়) মা: এই নীল জামাটা সুন্দর, জিনিয়া দেখ তো এটা গায়ে লাগবে কি না।
জিনিয়া: আমার বন্ধু শিউলি বলেছিল কালো রঙে আমাকে অনেক সুন্দর লাগে।
জিনিয়া: কিন্তু মা বলে কালো রঙ ভালো না। আমি মা কে কিছু বলতে পারি না, ভয় লাগে।
জিনিয়া: না, থাক। মাকে আমি এ নিয়ে এখন রাগাতে চাই না। যেটা কিনতে বলবে সেটাই নেব।
বাবা: জিনিয়া এই জামা ঠিক আছে? তাড়াতাড়ি বলো আমাদের অনেক কেনাকাটা আছে।
জিনিয়া: কি ! (সংবিত ফিরে পেয়ে)। ঠিক আছে সমস্যা নেই।
মা: পছন্দ হয় নাই? আমি জানি তোমাকে কী সুন্দর লাগবে এই জামায়।
জিনিয়া: মা, আমি ওই কালো জামাটা নিতে চাই। মা: তোমাকে আমি কতদিন বলেছি কালো ভালো রঙ না, তোমাকে কালোতে মানায় না।
জিনিয়া: নাহ! আজকে আমি বলবই আমার কালো রঙের জামাটা পছন্দ হয়েছে।
জিনিয়া: (জিনিয়া লম্বা করে দম নিল) মা, তুমি চাও আমি এমন কিছু পরি যাতে আমাকে সুন্দর লাগবে। কালো জামাটাই আমার বেশি পছন্দ। আর আমার মনে হয় কালো জামাটাতেই আমাকে বেশ ভালো মানাবে। এটা না কিনে নীল জামাটা কিনলে নিজের পছন্দে না কেনার কষ্ট ও আফসোস থেকে।
গল্প অনুযায়ী কোন চরিত্রের সাথে নিচের কথাগুলো মিলে তা নিয়ে চিন্তা করে হ্যাঁ বা না লিখি। আমার বন্ধুর সাথে ছকটি নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।
নিচের প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর তৈরি করি। আমার বন্ধুর সাথে প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।
আরও দেখুনঃ