আজকে আমরা আলোচনা করবো বন্ধুর প্রতি সহমর্মিতা – যা অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি এর অন্তর্ভুক্ত |
বন্ধুর প্রতি সহমর্মিতা
স্থান: নদীর পাড়।
চরিত্রঃ কিংশুক চাকমা, রাজিন রহমান ও সীমান্ত পাল।
কিংশুক চাকমা, রাজিন রহমান ও সীমান্ত পাল তিন বন্ধু। নদীতে গোসল করা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচন চলছে।
কিংশুক: আমরা কিন্তু আজকে নদীতে নামবই সীমান্ত। আমাদের কিন্তু আগেই এ নিয়ে কথা হয়েছে।
সীমান্ত: আমি কোনো পানিতে নামার মধ্যে নেই। আমি সাঁতার পারি না।
কিংশুক: নদীর পাড়ে এসেও পানিতে নামবে না !! হে হে হে! তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না।
সীমান্ত: না হলে নাই। আমি নামছি না। রাজিন: আরে কিছু হবে না সীমান্ত। তোমাকে তো সাঁতার কাটতে হবে না, শুধু কোমর পানিতে নামলেই হবে।
কিংশুক: আসল কথা হচ্ছে ও একটা ভীতুর ডিম। ওর কলিজা হচ্ছে মুরগির সমান।
কিংশুক: তুমি না নামলে নাই, আমি আর রাজিন নামছি। সীমান্ত: আচ্ছা তোমরা নামো, আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি। (মন খারাপ চেহারা নিয়ে)।
রাজিন: আজকে নদীতে না নামলে কিন্তু আমিও তোমাকে ভীতুর ডিম বলব সীমান্ত (রাজিন এ কথা বলার চিন্তা করছে কিন্তু বলতে গিয়ে থেমে গেল)। রাজিনের মনে পড়ে গেল, ছোটবেলায় একবার দাদাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে বাগানে গেলে মৌমাছি কামড় দেয়। এরপর থেকেই বাগান দেখলেই তার ভয় লাগত এবং তার মামাতো ভাই এ নিয়ে তাকে ভীতুর ডিম বলে খেপাত।
রাজিন: সাঁতার না জানলে পানিতে ভয় লাগাই স্বাভাবিক। আমি যখন সাঁতার পারতাম না, আমারও পানি নিয়ে ভয় ছিল।
কিংশুক: রাজিন অবশ্য ঠিকই বলেছ। আচ্ছা থাক সীমান্ত। তোমার পানিতে নামতে হবে না।
রাজিন: আমি ভেবেছিলাম গোসল শেষে আমরা একসাথে বাড়ি যাব। আমাদের গোসল শেষ হওয়া পর্যন্ত কি একটু অপেক্ষা করবে সীমান্ত? সীমান্ত: আচ্ছা ঠিক আছে। আমি অপেক্ষা করব। আমারও তোমাদের সাথে বাড়ি ফিরতে পারলে খুশি লাগবে।
গল্প অনুযায়ী কোন চরিত্রের সাথে নিচের কথাগুলো মিলে তা নিয়ে চিন্তা করে হ্যাঁ/না/প্রযোজ্য নয় লিখি। আমার বন্ধুর সাথে ছকটি নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।
নিচের প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর তৈরি করি। বন্ধুর সাথে প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।
আরও দেখুনঃ