সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

আজকে আমরা আলোচনা করবো  সম্পর্কের যত্নে কথা বলি – যা অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি এর অন্তর্ভুক্ত |

 সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

 

 সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

 

স্থান: বাসা

চরিত্র: আমিন, রাবেয়া (আমিনের মা), রহমান (আমিনের বাবা)

আমিন গল্পের বই পড়ছে, এই সময় তার মা এসে তাকে দোকান থেকে পেঁয়াজ কিনে আনতে বলল।

আমিন: এখন না গেলে হয় না? আমি বই পড়ছি।

রাবেয়া: আমিন, এক্ষুনি উঠ তো। দোকান থেকে ১ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে আস।

আমিন:  সকালেই তো ডিম কিনে আনলাম, তখনই বলতে পারতে

আমিন পেঁয়াজ এনে দেওয়ার পর ঘরের দরজা চাপিয়ে আবারও গল্পের বই পড়া শুরু করল।

রহমান: (হঠাৎ করে চুপে চুপে আমিনের ঘাড়ের একদম পেছনে এসে) এই আমিন, কী পড় এগুলো?

আমিন: আমি একটু আমার মতো করে গল্পের বই পড়তে চাচ্ছিলাম, বাবা।

আমিন: বাবা, আমি ছোট হলেও নিজের মতো করে একটু সময় কাটাতে এখন পছন্দ করি। এরকম হুট করে আমার পিছনে এসে উঁকি দিলে আমার অস্বস্তি লাগে।

আমিন: আমি জানি বাবা, তোমরা আমার ভালো চাও। কিন্তু এমনটা করলে আমার একটু অস্বস্তি বোধ হয় এবং মনে হয় যে তোমরা আমার একা থাকা পছন্দ করো না। তাই, আমি একা থাকার সময় তুমি যদি আমাকে আগে ডাকো বা আমাকে জিজ্ঞেস করে কাছে আসো, তাহলে আমার ভালো লাগবে।

রাবেয়া: এখনি লাগবে, নয়তো রান্না হবে কী করে।

রাবেয়া: তখন ভুলে গেছি।

রহমান: তুমি তো এখনো অনেক ছোট, ঘরের দরজা চাপিয়ে পড়ার কী দরকার?

রহমান: আমি এটা তোমার ভালোর জন্যই বলেছি।

রহমান: আচ্ছা, এখন থেকে আমি চেষ্টা করব।

 

(কিছুক্ষণ পরে…….)

 

প্রেক্ষাপট: (রহমান চুলায় তরকারি নাড়ছে এবং রাবেয়া পেঁয়াজ কাটছে।)

রহমান: তা আসলে ঠিক বলেছ। কিন্তু ও একা থাকলে আমার মনে হয ওর কি শরীর অসুস্থ, মন খারাপ বা বন্ধু বা অন্য কারও সাথে

রাবেয়া: আমার মনে হয় আমাদের এখন থেকে আমিনের ব্যক্তিগত সীমানা নিয়ে ভাবতে হবে। ও এখন বড় হচ্ছে। ওকে নিজের মতো করে সময় কাটাতে দিতে হবে।

রাবেয়া: তা ঠিক, আমাদেরকেও ওর সাথে ধৈর্য ধরে শান্তভাবে কথা বলতে হবে। তবে আমরাও যেন ওর ব্যক্তিগত সীমানায় অযাচিতভাবে চলে না যাই।

রহমান: এটা ভালো বলেছ । তাহলেই আমিন ওর মনের কথা নির্দ্বিধায় আমাদেরকে বলতে পারবে। তখন ওর সমস্যার কথা আমাদেরকে জানাতেও আর সংকোচ করবে না।

রহমান: ঠিক আছে। এরপর থেকে তাই করব।

গল্প অনুযায়ী কোন চরিত্রের সাথে নিচের কথাগুলো মিলে তা নিয়ে চিন্তা করে হ্যাঁ/না/প্রযোজ্য নয় লিখি। আমার বন্ধুর সাথে ছকটি নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।

 

 সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

 

নিচের প্রশ্নগুলো পড়ে উত্তর তৈরি করি। বন্ধুর সাথে প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি এবং আলোচনা শেষে কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে করি।

 

 সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

 

ওপরের গল্পগুলোতে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের কৌশল

 

 সম্পর্কের যত্নে কথা বলি

 

শ্রেণিতে শিক্ষক আমাদের দলে ভাগ করে দিয়ে ওপরের গল্পগুলোতে অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশের বিভিন্ন কৌশল উল্লেখ করতে বলেছিলেন। এবার সেই কাজটি আমরা নিজে অপর পৃষ্ঠার ছকে করি। কোন কৌশলটি কার্যকর আর কোনটি অকার্যকর মনে হয়েছে, তা উল্লেখ করি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment