আজকে আমরা আলোচনা করবো আউটডোর গেমস – যা সুস্থ থাকি, আনন্দে থাকি, নিরাপদ থাকি এর অন্তর্ভুক্ত | এই পাঠটি বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর ৬ষ্ট শ্রেণীর পাঠ্যক্রমের “স্বাস্থ্য সুরক্ষা” বিষয়ের একটি পাঠ।
Table of Contents
আউটডোর গেমস
১. ফর্মুলা ওয়ান খেলা
- খেলার স্থান: খেলার মাঠ
- খেলোয়াড়ের সংখ্যা: একেকটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন
- খেলার সরঞ্জাম: বাঁশের লাঠি, কাগজের কার্টুন বক্স, প্লাস্টিকের কোণ, মার্কার, সময় গণনার জন্য স্টপ ওয়াচ
- খেলা পরিচালনাকারীর সংখ্যা: একজন
ফর্মুলা ওয়ান খেলার বিবরণ:
এটি একটি দলগত খেলা। পরিচালনাকারী খেলার সময় নির্ধারণ করবেন। ৬০ মিটার দূরত্বকে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি দূরত্ব অর্থাৎ ২০ মিটার স্প্রিন্ট দৌড়ানোর জন্য। একটি দুরত্ব হার্ডেলস বা বেড়া/বাঁধার উপর দিয়ে দৌড়ানোর জন্য এবং অপরটি জিগজাগ এর জন্য। রীলে ব্যাটন হিসেবে একটি নরম রিং থাকবে। প্রত্যেক প্রতিযোগী দৌড়ের শুরুতে একটি ম্যাটের উপর দিয়ে ডিগবাজী (ফ্রন্টরোল) দিবে।। এই খেলার প্রত্যেক খেলোয়াড়কে কোর্সটি শেষ করতে হবে । একসাথে একাধিক টিম খেলতে পারবে।
ফর্মুলা ওয়ান খেলায় ফলাফল নির্ণয়:
সময়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি দলের ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। কোর্স শেষ করতে যে দলের সময় সবচেয়ে কম লাগবে তাঁরা প্রথম হবে। এভাবে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
ফর্মুলা ওয়ান পরিচালনাকারীর সহকারী:
প্রতিটি হার্ডেলস বা বেড়া, জিগজাগ এবং স্প্রিন্ট এলাকায় দুজন সহকারী নিযুক্ত থাকবে। তারা খেলার সরঞ্জামগুলি যথাস্থানে রাখবে। রীলে জোনে আরো অতিরিক্ত দুজন সহকারী থাকবে। একজন থাকবে স্টার্টার হিসেবে। অন্যজন থাকবে সময় রেকর্ড করার জন্য, তিনিই প্রয়োজন মতো সময় রেকর্ড করবে। টাইম কিপাররা ফলাফল এবং রেকর্ড সংরক্ষণ করবে।
২. ভজবল খেলা
- খেলার স্থান: খেলার মাঠ
- খেলোয়াড়ের সংখ্যা: প্রতি দলে ১০ থেকে ২০ জন
- খেলার সরঞ্জাম: ফুটবল,ভলিবল,হ্যান্ডবল অথবা চামড়ার তৈরি একটি বল
- পরিচালনাকারীর সংখ্যা: এক থেকে দুইজন।
ভজবল খেলার বিবরণ:
খেলোয়াড়দের দুই দলে বিভক্ত করে এদের একদল একটা বড় বৃত্ত করে বৃত্তের বাইরে দাঁড়াবে এবং তাদের হাতেই বল থাকবে। অপর দলটি বৃত্তের মাঝখানে থাকবে। বৃত্তের বাইরে থাকা খেলোয়াড় বৃত্তের মাঝে থাকা খেলোয়ারদের মাথার নিচে দেহের অংশে বল লাগাতে চেষ্টা করবে। যে খেলোয়াড়দের দেহে বল লাগবে তারা বৃত্তের বাইরে চলে যাবে। এইভাবে উভয় দলই নির্দিষ্ট সময় খেলবে। যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশি আউট করতে পারবে তারা জয়ী হবে। তবে খেলার জয়-পরাজয় আরো অনেক রকম হতে পারে।
৩. এ্যাথলেটিকস্ খেলা
এ্যাথলেটিকস্ বলতে আমরা দৌড়-ঝাপ, নিক্ষেপকেই বুঝে থাকি। অলিম্পিক গেমস হচ্ছে সর্বপ্রকার দৌড়-ঝাপ নিক্ষেপ সম্বলিত বিভিন্ন ক্রীড়া। আর এ্যাথলেটিকস্ হচ্ছে খেলাধুলার একটি বিশেষ আকর্ষণ। এ্যাথলেটিকস্ এর উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতার স্পৃহা বাড়ে। ব্যক্তিগত উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করা যায়।
বড় বড় খেলা যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, হ্যান্ডবল, ভলিবল, বাস্কেটবল, জিমন্যাষ্টিক, টেনিস, সাঁতার ইত্যাদি সব ধরনের খেলায় পারদর্শী হতে হলে তাকে অবশ্যই দৌড়-ঝাপ, নিক্ষেপে পারদর্শী হতে হবে। কারণ উল্লিখিত সবগুলো খেলাতে দৌড়-ঝাপ, নিক্ষেপ বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিশেষ যে কোনো খেলায় পারদর্শিতা অর্জন এবং শারীরিক উৎকর্ষতায় এ্যাথলেটিকস্ এর গুরুত্ব অপরিসীম। অধিক গতিতে স্বল্প দূরত্বের দৌড়কে স্প্রিন্ট ইভেন্ট বলে। এ্যাথলেটিকস্ এর ইভেন্টগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন: দৌড়,লাফ এবং নিক্ষেপ।
রানিং ইভেন্টের মধ্যে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার ইভেন্ট। জাম্প এর মধ্যে দীর্ঘলাফ। নিক্ষেপ ইভেন্টের মধ্যে ক্রিকেট বল/টেনিস বল/ লৌহ গোলক ক্লাস সিক্সের ছেলেমেয়েদের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
এ্যাথলেটিকস্ খেলার স্থান:
খেলার মাঠে সচরাচর এই খেলা খেলা হয়।
দীর্ঘ লাফ খেলা
দীর্ঘ লাফ খেলার স্থান:
মাঠ (মাঠে একটি জাম্পপিট তৈরি করতে হবে, জাম্পপিট নরম মাটি বা বালি দ্বারা ভরাট থাকবে। খেলার বিবরণ: ১৫-২০ মিটার দূর থেকে দৌড়ে এসে এক পায়ে টেকআপ (এক পায়ে ভর) নিয়ে উপরের দিকে উঠে সামনের দিকে জাম্প দিয়ে জোড়া পায়ে ল্যান্ড করতে হবে। এভাবে দীর্ঘলাফ সম্পন্ন হয়।
ক্রিকেট বল/টেনিস বল/লৌহ গোলক নিক্ষেপ খেলা
খেলার স্থান:
খেলার মাঠ বা উন্মুক্ত জায়গা
খেলার বিবরণ:
খেলার মাঠে একটি দাগ টানতে হয়। এই দাগের ৪-৫ মিটার পিছন থেকে দৌড়ে এসে বলটি নিক্ষেপ করতে হয়। নিক্ষেপের সময় পা দু’টি আগে পিছে থাকবে। লৌহগোলক নিক্ষেপের সময় জায়গায় দাড়িয়ে দুই পা আগে পিছে দিয়ে লৌহ গোলকটি হাতের তালুতে রাখতে হয়। যেদিকে গোলকটি নিক্ষেপ করতে হবে তার বিপরীত দিকে খেলোয়াড় মুখকরে দাড়াবে। শিক্ষক গোলকটি নিক্ষেপ করতে বললে তখন নিক্ষেপ করতে হবে। এই ইভেন্ট পরিচালনার সময় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
৪. ফুটবল খেলা
এটা বাংলাদশে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল খেলার মধ্য দিয়েই শারীরিক কর্মদক্ষতা, আত্মবশ্বিাস, দলীয় একাত্মবোধ, পরস্পর সহযোগিতা, নেতৃত্বদান প্রভৃতি গুণ অর্জিত হয়। আমরা ফুটবল খেলার সাধারণ নিয়ম কানুন জানব এবং খেলব।
ফুটবল খেলোয়াড়ের সংখ্যা:
প্রতি দলে ১১ জন।
ফুটবল খেলার সময়:
৪৫ মিনিট +১৫ মিনিট+ ৪৫ মিনিট। ক্লাস সিক্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই সময় কম হতে পারে। যেমন ১০ মিনিট+ ৫ মিনিট+ ১০ মিনিট।
ফুটবল খেলা পরিচালনাকারীর সংখ্যা:
একজন রেফারি। দুইজন সহকারি রেফারি। একজন চতুর্থ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে।
ফুটবল খেলার নিয়মবলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
৫. ক্রিকেট খেলা
বাংলাদেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। প্রতি দলের খেলোয়াড় সংখ্যা ১১ জন। এই খেলা পরিচালনার জন্য ২ জন আম্পায়ার ও একজন স্কোরার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
ক্রিকেট খেলোয়াড়ের সংখ্যা:
একটি দলে ১১ জন খেলোয়াড় থাকে।
ক্রিকেট খেলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
৬. সঙ্গী রিলে খেলা
সঙ্গী রিলে খেলার স্থান:
মাঠ খেলা হয়
সঙ্গী রিলে খেলোয়াড়ের সংখ্যা:
প্রতি দলে ১০ থেকে ২০ জন
সঙ্গী রিলে পরিচালকের সংখ্যা:
একজন
সঙ্গী রিলে খেলার বিবরণ:
একাধিক দল থাকবে। সবাই লাইনে দাঁড়াবে। প্রথম জন সামনের দিকে ঝুকে হাঁটুতে হাত রেখে ভর দিয়ে দাঁড়াবে। বাকি সবাই এক এক করে উপর দিয়ে লাফিয়ে দুই গজ সামনে গিয়ে সামনের দিকে ঝুকে হাঁটুতে হাত দিয়ে দাঁড়াবে। যে প্রথম দাঁড়িয়েছিল সে যখন লাফিয়ে আগে যাবে তখন শেষ হবে। যারা আগে শেষ করতে পারবে তারা জয়ী হবে। প্রয়োজনে ছেলে-মেয়ে আলাদা আলাদা করে খেলবে। যারা খেলবে না তারা খেলাটি পরিচালনার কাজ করবে।
৭. হ্যান্ডবল খেলা
হ্যান্ডবল খেলোয়ারের সংখ্যা:
প্রতি দলে সাতজন করে খেলোয়াড়।
হ্যান্ডবল খেলার সময়সীমা:
১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য এ সময় কম হতে পারে যেমন, ২০ মিনিট+ ১০ মিনিট+২০ মিনিট অথবা ১০ মিনিট+ ৫ মিনিট+ ১০ মিনিট। এই খেলার নিয়মকানুনগুলি খেলার পূর্বে শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।
হ্যান্ডবল খেলার সরঞ্জাম:
একটি হ্যান্ডবল ও গোল পোস্ট।
৮. সংখ্যা মিলানো খেলা
সংখ্যা মিলানো খেলার স্থান:
খেলার মাঠ
সংখ্যা মিলানো খেলোয়াড়ের সংখ্যা:
২৫ থেকে ৩০ জন
সংখ্যা মিলানো খেলা পরিচালনাকারীর সংখ্যা:
১জন
সংখ্যা মিলানো খেলার বিবরণ:
সকল খেলোয়াড় মিলে একটা বড় বৃত্ত তৈরি করতে হবে। সবাই বৃত্তের চারিদিকে ঘুরতে থাকবে। এমতাবস্থায় খেলা পরিচালনাকারী যে কোনো একটা সংখ্যা বলবে, আর সবাই সেই সংখ্যা মতো হবে। যেমন পরিচালনাকারী পাঁচ বললে খেলোয়াড়রা সবাই পাঁচজন করে একত্রে জড়ো হবে। যারা পারবে না অর্থাৎ কম বেশি হবে তারা বুকডন বা সিটআপ বা ফরোয়ার্ডরোল এর মতো আনন্দদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। এভাবে পরিচালনাকারীর নির্ধারিত সময় মতো খেলা চলবে। প্রয়োজনে ছেলে-মেয়ে আলাদা আলাদা করে খেলবে। যারা খেলবে না তারা খেলাটি পরিচালনার কাজে শিক্ষককে সহযোগিতা করবে।
৯. মোরগ লড়াই খেলা
মোরগ লড়াই খেলার স্থান:
খেলার মাঠ
মোরগ লড়াই খেলার সরঞ্জাম:
চুন/প্লাষ্টিক কোণ/মার্কার
মোরগ লড়াই খেলা পরিচালনাকারীর সংখ্যা:
একজন
মোরগ লড়াই খেলার বিবরণ:
একটা গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে হবে চুনের গুড়া দিয়ে। সব খেলোয়াড়রা মাঝখানে থাকবে। সবাই বামহাত দিয়ে বাম পা অথবা ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের গোড়ালি ধরবে। অপর হাত পিছন দিক দিয়ে অন্য হাত ধরবে। পরিচালনাকারী বাঁশি বাজানোর মাধ্যমে লাফিয়ে লাফিয়ে লড়াই শুরু করবে। যে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে সে জয়ী হবে। পিছন দিক থেকে আক্রমণ করা যাবেনা। প্রয়োজনে ছেলে-মেয়ে আলাদা আলাদা করে খেলবে। যারা খেলবে না তারা খেলাটি পরিচালনার কাজ করবে।
১০.কাবাডি খেলা
প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর মধ্যে কাবাডি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এটি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।
কাবাডি খেলার মাঠ:
কাবাডি খেলার মাঠ সমতল ও আয়তকার হতে হবে।
কাবাডি খেলায় খেলোয়াড়ের সংখ্যা:
প্রতিদলে ৭ জন খেলোয়াড়
কাবাডি খেলার সময়:
বড়দের জন্য ৪০ মিনিট। ২০ মিনিট খেলার পর ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে আবার ২০মিনিট খেলা। ছোটদের জন্য ৩০ মিনিট। ১৫ মিনিট খেলার পর ৫মিনিট বিরতি দিয়ে ১৫মিনিট খেলা ।
কাবাডি খেলার বিবরণ:
মধ্য রেখা থেকে দম নিয়ে কাবাডি, কাবাডি শব্দ উচ্চারণ করতে করতে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়কে স্পর্শ করে এক নিঃশ্বাসে নিরাপদে নিজের কোর্টে ফিরে আসতে পারলে যাকে স্পর্শ করা হয়েছে, সে বা তারা আউট হবে। এভাবে যতজন আউট হবে তাদের প্রত্যেকের জন্য এক পয়েন্ট পাওয়া যাবে। কোনো আক্রমণকারী বিপক্ষ দলের কোর্টে দম হারালে এবং বিপক্ষ দলের কেউ ধরে রাখতে পারলে সে আক্রমণকারী আউট বলে গণ্য হবে।
১১. ইচিং বিচিং খেলা
খেলাটি বাংলাদেশের গ্রাম গন্জের একটি জনপ্রিয় খেলা। এতে শারীরিক ভারসাম্য,পায়ের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় লাফ দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
ইচিং বিচিং খেলার স্থান:
সাধারণত শিশু, কিশোর ও কিশোরীরা এই খেলার জন্য ঘাসের সবুজ মাঠকে নির্বাচন করে থাকে।
ইচিং বিচিং খেলার বিবরণ:
- প্ৰথমে দু’জন খেলোযাড় একে অপরের পায়ে পা লাগিয়ে মুখোমুখি বসে দু’পায়ের গোড়ালি দিয়ে খেলোয়াড়দের অতিক্রম করার জন্য উচ্চতা তৈরি করে। পরবর্তীতে তারা পায়ের উপর আরেক পা তুলে দিয়ে এবং পায়ের উপর প্রসারিত করতল স্থাপন করে উচ্চতা বাড়িয়ে থাকে।
- লাফ দেওয়া খেলোয়াড় যদি বসে থাকা খেলোয়াড়কে স্পর্শ করে তবে সে আউট হয়ে যাবে।
- বসে থাকা খেলোয়াড়রা দুই পা মুক্ত করে ত্রিকোণাকার একটি সীমানা তৈরি করে। সফলভাবে অতিক্রমকারী খেলোয়াড়কে পরে এই সীমানা পা তুলে দম দিতে দিতে বা ইচিং বিচিং চিচিং ছা প্রজাপতি উড়ে যা ছড়া আওড়াতে আওড়াতে তিনবার লাফ দিয়ে পার হতে হয়।
- এই সীমানা অতিক্রম করার পর বসে থাকা খেলোয়াড়দের যুক্ত পাকে প্রতিটি খেলোয়াড় শূন্যে লাফিয়ে ইচিং বিচিং ছড়া বলতে বলতে দুইবার করে অতিক্রম করে । এটিই খেলার শেষ পর্ব।
আরও দেখুনঃ