আজকে আমরা আলোচনা করবো মনের যত্ন – যা সুস্থ থাকি, আনন্দে থাকি, নিরাপদ থাকি এর অন্তর্ভুক্ত। সুস্থ থাকতে শরীরের যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন মনের যত্নও। তবে শরীরের যত্ন নিলেও মনের যত্নের প্রতি মানুষের খুব অবহেলা। মনের ওপর ভিত্তি করেই যে শরীর এ কথা ভুললে কিন্তু চলবে না।
মনের যত্ন
সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের পাশাপাশি মনের ভালো থাকার গুরুত্ব অনেক। যেসব কাজ মন ভালো রাখে সেগুলো করা, বিনোদন, শখের কাজ, নিজের অনুভূতির যত্ন নেওয়া ইত্যাদি মনের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন। আমাদের ভালো লাগার, আনন্দের, মজার অনুভূতিগুলো মনে ও শরীরে শক্তি জোগায়। শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা শিখেছি কীভাবে অনুভূতির যত্ন নিতে হয়।
আবার কখনও কখনও আমাদের কিছু অনুভূতি হয়, যা নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। তখন কী করব বুঝতে পারি না। কী করলে আমাদের মনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে তা না জানার কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। মনের যত্নের এই অংশে আমরা মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু উপায় জানব যাতে আমরা নিজেরাই নিজেদের মনের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারি ।
মন দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় ধারণা। মন বলতে সাধারণভাবে বোঝায় যে, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মন কি এবং কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে অনেক রকম তত্ত্ব প্রচলিত আছে। এসব তত্ত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে মূলতঃ প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকদের সময়কাল থেকে।
জড়বাদী দার্শনিকগণ মনে করেন যে, মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। বরং মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে। মন এর সঠিক সংজ্ঞা সম্ভব নয়। তবে এই ভাবে বলা যেতে পারে, মন হলো এমন কিছু যা নিজের অবস্থা এবং ক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন। মনের সরুপ লক্ষণ হলো চেতনা যার থেকে মনকে জড়ো থেকে আলাদা করা হয়।
আরও দেখুনঃ