খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ 

আজকে আমরা আলোচনা করবো খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ  – যা সুস্থ থাকি, আনন্দে থাকি, নিরাপদ থাকি এর অন্তর্ভুক্ত | এই পাঠটি বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর ৬ষ্ট শ্রেণীর পাঠ্যক্রমের “স্বাস্থ্য সুরক্ষা” বিষয়ের একটি পাঠ।

খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ

 

খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ 

 

শরীরচর্চা ও খেলাধুলার সময় কখনো কখনো আমরা আঘাত পেতে পারি। এই আঘাত থেকে রক্ষার জন্য কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। যেমন:

  • শরীরচর্চা ও খেলাধুলার আগে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গা গরম/ওয়ার্ম আপ করা ও পরে কুল ডাউন করা
  • বয়স উপযোগী ব্যায়াম করা
  • ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত সময় ও যথাযথ ড্রেস নির্বাচন করা
  • খেলা, খেলার সরঞ্জাম, খেলার স্থান সঠিকভাবে নির্বাচন করা

 

খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ 

ওয়ার্ম আপ কী?

যে কোনো খেলাধুলা বা শরীরচর্চার আগে শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াকে ওয়ার্ম আপ বলে। বিজ্ঞানসম্মত উপায় যথাযথভাবে ওয়ার্ম আপ করলে ৫০% ক্রীড়াজনিত আঘাতের আশঙ্কা কমে যায়। খেলার আগে দুই থেকে তিন মিনিট আস্তে আস্তে দৌড়ে শরীরকে গরম করে নিতে হয়।

 

খেলাধুলায় আঘাত ও প্রতিরোধ 

 

কুল ডাউন কী?

খেলা শেষ করে পূর্ণ বিশ্রামে যাওয়ার আগে শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য শরীরকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করাকেই কুল ডাউন বলে। কঠিন কাজ বা খেলাধুলার সময় শরীর অত্যন্ত গরম হয়। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ কার্যক্ষম হয়। হঠাৎ করে পূর্ণ বিশ্রামে গেলে শরীরের ক্ষতি হয়। শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য শরীরকে আস্তে আস্তে ঠান্ডা করা হলে চমৎকার ফল পাওয়া যায়। খেলার পরে ২-৩ মিনিট জগিং করতে হয়, জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে আস্তে আস্তে ছাড়তে হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment