আজকে আমরা আলোচনা করবো অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখব – যা অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা বলি এর অন্তর্ভুক্ত |
Table of Contents
অনুভূতি ও প্রয়োজনের কথা প্রকাশে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখব
১। চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলি
আমি যখন অন্যদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলব, তখন আমাকে আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। মনে হবে যে | আমি ভয় পাচ্ছি না, বা নিজেকে ছোট করেও দেখি না।
২। নিজেকে শান্ত রাখি
নিজেকে শান্ত রাখতে লম্বা দম নেই। ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার মতো করে দম নেই এবং মোমবাতি ফুঁ দেওয়ার | মতো করে দম ছাড়ি। প্রথম প্রথম কাজটি করতে অস্বস্তি লাগলেও, নিয়মিত চর্চা করলে এই কৌশল | আমাকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।
৩। দৃঢ়ভাবে কথা বলি
যা বলতে চাই খুব স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলব, খুব আস্তে বা অনেক উঁচু স্বরেও না। আমি যদি খুব আস্তে কথা | বলি সহজে কেউ আমাকে শুনবে না এবং আত্মবিশ্বাসী মনে করবে না। আবার আমি যদি অনেক উঁচু স্বরে | কথা বলি তাহলে মনে হতে পারে আমি চিৎকার করছি বা অনেক রেগে কথা বলছি।
৪। গলার স্বর ও অঙ্গভঙ্গির সাথে মিল রেখে অনুভূতি প্রকাশ করি।
কেউ যদি মুখে হাসি হাসি নিয়ে বলে তার মন খারাপ, তাহলে কি আমরা বিভ্রান্ত হয়ে যাব না? এজন্যই আমি যা বোঝাতে চাই তাই যেন বোঝাতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য আমার অনুভূতির সাথে গলার স্বর ও | অঙ্গভঙ্গির মিল থাকা জরুরি।
৫। আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে এমন অঙ্গভঙ্গি বজায় রাখি
আমি যদি এমনভাবে দাঁড়াই যে, আমাকে দেখলে মনে হয় আমি জড়োসড়ো হয়ে আছি বা ভয় পাচ্ছি, | তখন সহজে কেউ আমার কথা গুরুত্ব দিতে চাইবে না। কথা বলার সময় যা খেয়াল রাখব :
- সোজা হয়ে দাঁড়াব বা বসব
- চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলব
- অঙ্গভঙ্গি শান্ত রাখব
- শরীর জড়োসড়ো বা শক্ত করে রাখব না
- হাত মুষ্টিবদ্ধ বা দুই হাত বুকে ভাঁজ করে রাখব না
- মাথা ঝুঁকে আছে এমনভাবে থাকব না
৬। অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি, তার অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকি
যখন অপর পাশের মানুষটি কথা বলছে তখন তাকে কথা শেষ করতে দেবতার কথার মাঝেই কথা বলব না। ওই মানুষটি কী চায় বা অনুভব করে তা বোঝার চেষ্টা করব সে বিষয়ে নিজের মতো শ্রদ্ধার সাথে প্রকাশ করব। তাকে নিয়ে দোষারোপ বা হাসাহাসি করব না।
৭। ‘আমি/আমার’ শব্দ ব্যবহার করি
অন্যের সাথে কথা বলার সময় ‘আমি/ আমার’ শব্দ ব্যবহার করে নিজের চাওয়া, অনুভূতি ও মতামত প্রকাশ করি। মনের কথা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ না পেলে অন্যের সাথে দূরত্ব বা মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে। যখন আমি বা আমার শব্দ ব্যবহার করে | নিজের মনের কথা প্রকাশ করি, তখন | আমার কথাটির গুরুত্ব জোরালো হয়।
৮। প্রয়োজনে ‘না’ বলি
কোনো কিছুতে অস্বস্তি লাগলে বা আমার ব্যক্তিগত সীমানা রক্ষা করতে আমি না বলতে পারি। মনে রাখব, আমি যেমন অন্যকে না বলতে পারি, ঠিক তেমনি অন্য কেউ আমাকে না বললে তা আমার শুনতে হবে।মনে রাখব আমি নিজের প্রয়োজন, অনুভূতি ও মতামত দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করব অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ না করে, অন্যের প্রয়োজন,অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে। তবে অনেকে আমার নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করা নিয়ে কষ্ট বা রাগ অনুভব করতে পারে। আমি যদি অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ণ না করি এবং অন্যের প্রয়োজন, অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকি, তাহলে তার কষ্ট বা রাগ অনুভূতির দায়/দোষ আমার না। এ নিয়ে আমার মন খারাপ হতে পারে; কিন্তু ওই মানুষটির অনুভূতির দায়িত্ব তার নিজের।
আরও দেখুনঃ