আজকে আমরা আলোচনা করবো বয়ঃসন্ধিকালে মনের যত্ন – যা আমার কৈশোরের যত্ন এর অন্তর্ভুক্ত। একটা শিশু জন্মের পর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত জীবনের অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে। এর মধ্যে সর্বশেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বা সময় হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল। বয়ঃসন্ধিকাল এ একটা ছেলে কিংবা মেয়ের নানাবিধ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন: শারীরিক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন, আচরণগত পরিবর্তন ইত্যাদি।
আজকের আর্টিকেলে আমরা ছেলে-মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল কী সে সম্পর্কে জানবো। এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালে কী কী পরিবর্তন হতে পারে এবং এতে পরিবারসহ সমাজের অন্যান্য পক্ষের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কেও আলোকপাত করবো।
বয়ঃসন্ধিকালে মনের যত্ন
বয়ঃসন্ধিকালে মনের যত্নের জন্য সঠিক তথ্য জানা দরকার। এ সময় কিশোর-কিশোরীদের তীব্র আবেগ ও অনুভূতি হয়। এটি স্বাভাবিক। এ তথ্যটি তাদের অহেতুক ভয় কিংবা দুশ্চিন্তা দূর করবে। দায়িত্ব গ্রহণে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ইতঃমধ্যে প্রথম অধ্যায়ে মন ভালো রাখার কিছু কৌশল আমরা শিখেছি। বয়ঃসন্ধিকালে মনের যত্নেও সে কৌশলগুলো ব্যবহার করতে পারব। এছাড়াও হঠাৎ রেগে গেলে নিচের কয়েকটি কাজ করা যায় :
- ৩-৫ বার নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়া।
- ৫০-১ পর্যন্ত উল্টাভাবে গোনা।
- যে স্থানে রাগ হচ্ছে সে স্থান পরিবর্তন করা।
- বেশি পানি দিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ফেলা।
- ছবি এঁকে অনুভূতির প্রকাশ করা।
- নির্ভরযোগ্য কারও বা বিশ্বস্ত কারোর সঙ্গে মনের কথা খুলে বলা
বয়ঃসন্ধি একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি শিশুর শরীর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রূপান্তরিত হয় এবং প্রজননের সক্ষমতা লাভ করে। মস্তিষ্ক থেকে গোনাডে (ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়) হরমোন সংকেত যাবার মাধ্যমে এটির সূচনা ঘটে। ফলশ্রুতিতে গোনাড বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন শুরু করে যার ফলে মস্তিষ্ক, অস্থি, পেশি, ত্বক, স্তন, এবং জনন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের বৃদ্ধি শুরু হয়।
আরও দেখুনঃ