আজকে আমরা আলোচনা করবো প্রিয় বন্ধু হওয়ার উপায় – যা চলো বন্ধু হই এর অন্তর্ভুক্ত |
প্রিয় বন্ধু হওয়ার উপায়
আমরা প্রথমে নিজের বন্ধু কী কী কারণে প্রিয়, তা বের করেছি। এরপর সহপাঠীদের কাছ থেকে তারা কী কী কারণে তাদের বন্ধুদের পছন্দ করে, তাও জানলাম। আমরা সবাই প্রিয় বন্ধু হওয়ার অনেকগুলো উপায় খুঁজে পেলাম। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম বন্ধুত্ব তৈরি করতে যে আচরণগুলো সাহায্য করতে পারে সেগুলো হলো:
- বন্ধুর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা।
- তার অনুভূতি বুঝার চেষ্টা করা। আমি তাকে ঠিকভাবে বুঝেছি কি না, প্রয়োজনে তার কাছ থেকে শুনে নেওয়া।
- তার অনুভূতিকে সম্মান করা। তাকে দোষারোপ না করা।
- সে কোনো ভুল কাজ করে ফেললেও দোষারোপ না করা। তাকে কিছু বলার প্রয়োজন হলে তার মন ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। পরে বুঝিয়ে বলা।
- তার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-কষ্টে আমার কেমন লাগে, সেটি তার কাছে প্রকাশ করা।
- তার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন কিনা, তা জানতে চাওয়া। সাধ্যমতো তাকে সহযোগিতা করা।
- তবে বলতে না চাইলে জোর না করা।
- অনুমতি নিয়ে তার কাছে যাওয়া বা কিছু করা। অনুমতি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
- সে কষ্ট পেতে পারে বা লজ্জা পেতে পারে এমন কথা না বলা ও কাজ না করা।
- নিজে কোনো ভুল আচরণ করলে তার জন্য ক্ষমা চাওয়া।
বন্ধুরা এ আচরণগুলো করলে আমাদের ভালো লাগে। আমাকে বুঝে তারা পাশে থাকে বলে আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। আমরা আনন্দ পাই। আমাদেরকে ভালোবাসে বলেই তারা আমাদের কষ্ট দিতে চায় না। তাদের অনুভূতি ও আচরণ দিয়ে আমরা উপকৃত হই। তাদের এই মনোভাবকে সহমর্মিতা বলে। সহমর্মী হলে একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়। সম্পর্কের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করে। ফলে দ্বন্দ্ব ও ঝগড়া-বিবাদ কমে যায়। আমরা সহমর্মিতা ও তার সুবিধা সম্পর্কে জানলাম। এবার আমার নিজের পাঁচটি সহমর্মী আচরণ অপর পৃষ্ঠার ছকে লিখি।
সহমর্মিতার অভাবে আমরা অন্যদের অনুভূতি ও প্রয়োজন বুঝতে পারি না। অন্যের অনুভূতি, প্রয়োজন ও পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা না করেই কোনো কথা বলে ফেলি। কখনও দুষ্টুমি করে এমন কিছু করে ফেলি, যা তাদের মনে কষ্ট দেয়। ভাই-বোন, আত্মীয়, সহপাঠী,বন্ধুর সাথেও মাঝে মাঝে আমরা এমন আচরণ করে ফেলি। এ ধরনের আচরণে কষ্ট পেয়ে সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
সবার সাথে মিশতে পারে না। কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। এতে তাদের পক্ষে বন্ধুত্ব তৈরি করা, পড়াশোনা, এমনকি অন্যান্য কাজে মনোযোগ দিতে সমস্যা হয়। কারও কারও মধ্যে বড় হলেও এই সমস্যা থেকে যায়। কখনো কখনো মা-বাবার অনুভূতি ও পরিস্থিতি না বুঝে এমন কিছু করে ফেলি যা তাদের মনে কষ্ট দেয়। এবার আমরা অপর পৃষ্ঠার ছবিটি মনোযোগ দিয়ে দেখি। সময় নিয়ে চিন্তা করি ছবিগুলো দেখে আমার কী মনে হচ্ছে?
প্রথম নিজে ভাবলাম, তারপর সহপাঠীদের সাথে ছবিগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম। কোন কোন পরিস্থিতিতে কী কী ভাবে বন্ধু হওয়া যায়, তার ধারণা পেলাম। ছবির সাথে আমার কী কোনো মিল আছে? আমি কী এমন কোনো কাজ করি? ছবিগুলো দেখে এমন কোনো কাজের কথা মনে হচ্ছে, যা আমি এখন থেকে করতে চাই। আমার উত্তরগুলো দিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করি।
আরও দেখুনঃ